মানিপ্লান্টের ঠিকানা
প্রেমে পড়ার মুহূর্তটা সব সময়ই পদার্থ বিজ্ঞানের অভিকর্ষজ ত্বরণ এর মতন, অভিকর্ষের কারণে ওপর থেকে পড়ন্ত বস্তু যেমন ভূপৃষ্ঠের দিকে যতই ধাবিত হয় এর পতনের বেগ ততোই বৃদ্ধি পেতে থাকে, প্রেমের বেগ বৃদ্ধির হারও এমন।
ভনিতা ভেঙ্গে যা ঘটেছিল তা বলছি- শয়তান আমার ঘারে চেপে বসেছে তাই এমন পবিত্র স্থানে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। এটা একটা সার্বজনীন পবিত্র স্থান, হসপিটাল, যেখানের দেয়ালগুলো দোয়া আর প্রার্থনায় কাপে। এখানে সবার ধর্ম আলাদা হলেও আর্ত মানুষেরা, স্বজনেরা এতটা সাম্যবাদীতায় এবং একাগ্রতায় সৃষ্টিকর্তাকে আর কখনও ডাকে বলে আমার বিশ্বাস হয় না।
হাত খরচ প্লাস জমানো সব টাকা ক্যাশ কাউন্টারে দিয়েও হাসি মুখে ধন্যবাদ জানিয়ে অপেক্ষা করছিলাম একটা সিএনজি করে সে দিন সন্ধায় বাড়ি ফিরব বলে। মনে মনে ঠিকও করে রেখেছিলাম মামা কে বলব কুড়িল ফ্লাইওভারের উপর দশ মিনিট দাড়িয়ে থাকব, এ জন্য ওনাকে একশ টাকা বেশি দিতেও রাজি, সে ফ্লাইওভার এর নিচে কোথাও অপেক্ষা করবে।
সন্ধার অপেক্ষায় আমি যখন অস্থির তখন হসপিটালের করিডোরে ও চোখে পরল। আমার একটু ওপাশে দাড়িয়ে সেই সকালের বাসি খবরের কাগজ পরছে, তাতে কি? এখানে সবাই দেশ বিদেশের খবর আরস্থ করেই সময় পার করে। এক নজরে যে ভালোলাগার জন্ম নিলো তার বিমুগ্ধতা বার বার আকর্ষণ করলেও মন জুরিয়ে দেখতে ইতস্ততা কাজ করছিল আর ড্যাব ড্যাব করে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকটা মোটেও ভালো হবে না। ও একা ছিল না, সাথে ছোট আরেকটা মেয়েও ছিল, খবরের পাতাগুলো ভাগাভাগির একপর্যায়ে পিচ্চিটার গালে একটা চরও বসিয়ে দিলো …। হা হা হা… মনে মনে হাসলাম আর ভাবছি আবার হসপিটালে ভর্তি হলে ক্যামন হয়?
কছম, জীবনে অনেকবার প্রেমে পরেছি কিন্তু দুয়েকটা আবেগ যার অনুভুতি, আলোড়ন, আকাঙ্ক্ষা এতই যে তার উপস্থিতি শুকনো শিতের শেষ বিকেলে দেখা চিলতে বসন্তের সমান। ছোট্ট রেল স্টেশনে অথবা বই মেলার স্টলে কিংবা হসপিটালের করিডোরে সেই প্রথম আর সেই শেষ দেখা অস্ত যাবার মুহূর্ত; মনের কোণে বারংবার যেয়ো না বলতে বলতে এই বুঝি শেষ হয়ে এলো … জীবন কতই সামান্য লাগে!
নিয়তি লাগামহীন অনিশ্চিত জেনেও আমাদের কত আশা, অন্ধ ভবিষ্যতের অঙ্ক কষা – এ প্লাস, বিসিএস, সংসার পাতা, ঘড়ের চালে ঝিঙের বিজ তুলে রাখা।
আচ্ছা বলুন তো, কোনটা রেখে কোনটা ফেলবেন ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নাকি জমির দলিল? হসপিটালওয়ালারা প্রেসক্রিপশনের বিশাল এক ফাইল বানিয়ে রেখেছে সাথে নানান রকম টেস্টের রিপোর্ট। আমি প্রেসক্রিপশনগুলোই হসপিটালের ডাস্টবিনে ফেলে দিলাম, যার জঞ্জাল সেই সামলাক। কারন এসব উরিন, ব্লাড টেস্ট রিপোর্ট আর ঝাপসা এক্স-রে ফাইলগুলো দিয়ে ঝালমুড়ির ঠোঙাও হবে না।
মাঝখানে মেসেঞ্জারে একটা টেক্সট পেলাম – এই কি করছেন? বিজি????না। তুমি?
বিরক্ত, সাথে মুখ বাকা দুটো ইমোজি
হুম। একটা জোকস বলব?
না। আজ মিট করতে চাই, করবেন?
ক্যান বলবা?
আপনিই তো বলেছিলেন দই পাপদি চাট খাওয়াবেন, ভুলে গেছেন?
বিড়াট মুশকিল, হসপিটাল থেকে বেড়িয়েই ডেট এ, তাও ফার্স্ট ডেট? বেশি না ভেবেই রাজি হয়ে গেলাম।সন্ধ্যা সাতটার পর তোমার অসুবিধা হবে কি?
না। সাইন্সল্যাবের মোড়ে আড়ং এর সামনে দাড়াব ওকে? আপনার অ্যাড্রেস?
ওকে কাঠবিড়ালি… কিসের অ্যাড্রেস?
ওহ! আপনার ফ্লাটের …… শুধু বাইরে বাইরেই ঘুরবো? …… জিভে কামড় দেয়া একটা ইমোজি
ধানমণ্ডি ৮/এ, হাউজ ২৮
ফ্লাট নাম্বার?
বি/এ
কিন্তু সত্যটা এই যে এটা আমার ঠিকানা না এবং এই ঠিকানায় কে থাকে বা আদৌ কোন বাড়ি আছে কিনা আমার জানা নাই। হসপিটালে ভর্তির পর গত পাচ দিন থেকে আমি একটা ফেইক আইডি খুলে কথা বলছি আর ওর সাথে আমার সম্পর্ক দেড় বছর।
সাইন্সল্যাবের মোড়ে ওভারব্রিজের উপর দাড়িয়ে কল করলাম – এই কতদুর? আমার আর একটু বাকি। ও আমার কন্ঠ চেনে না, নতুন সিম থেকে আগেও একবার কথা বলেছি।
জলদি করেন জলদি, আমি দাড়িয়ে আছি।
খানিক দূর থেকে দেখলাম ও দাড়িয়ে আছে, নিল শাড়ি পরা আর হাতে একটা মানিপ্লান্টের চারা।
পুরোনো ধুলোর দলে তোমায় খুঁজি
জোনাকির আলো রেখে পকেটে
আসবে শহরে আকাশের আঁধারে…
এই অপ্রত্যাশিত সময়, সে আমার জন্য, এই আমি আমি না, এ আমার জন্য না। ও কি ভাবছে জানি না, নিজের ভাঙ্গা টুকরো কুড়িয়ে কাছে এলাম। ওর চোখের পলক পরছে না, যেন একটা স্থির মূর্তি। শুধু হাতটা ধরে একটা রিক্সায় উঠে বললাম – মামা, ধানমন্ডি আট-এর এ চলেন। কেউ কারো দিকে তাকাচ্ছি না, বলছিও না কথা।
মানুষ স্বপ্ন নিয়ে বাচে, এটা সবাই চায় কেউ তাকে অনুভব করে ভালোবাসে, দোলনার শিশু থেকে বুড়ো সাবাই, সবাই তাই চায়। আমার কেউ নাই, যা ছিল মিথ্যে, আজ তাও নাই।
ধানমন্ডি আট-এর এ এসে রিক্সা থেকে নেমে বললাম – বাসাটা খুজে নাও, আমি চলি। এবার আমার সার্ট টেনে ধরেছে, মুহূর্তে পা জড়িয়ে ধরল প্রায় – আমি মাফ চাই, বাচব না, খোদার কসম।সিনক্রিয়েট করবে না, এটা রাস্তা।
তুমি আমায় বিশ্বাস করবা না? একবার? আমায় বিশ্বাস করো … এটা ভুল, আগে কখনও …… ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছে
সব ফুরিয়ে এসেছে বিশ্বাস, নিঃশ্বাস, জমানো আশার কথা।
ওকে খুব জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা করছে, ভুলে যেতে ইচ্ছা করছে সব কথা, পা ভারি হয়ে আসছে আবার জয়ী হবার সান্তনাও কাজ করছে। আমি হারলাম নাকি হারালাম সেই দ্বিধা নিয়েই একটা সিএনজি ধরলাম।মামা আপনি সিগারেট খান?
জি। আপনে?
না, খাই না, এখন ইচ্ছা করছে। সিগারেট খাইলে মনের কষ্ট কমে?
এডি ভুল কথা। আমি সেই ছোটকাল থাইকা খাই, বদভ্যাস। আর খাওনের কাম নাই।
ঠিক আছে আপনার কথা রাখলাম। কিন্তু আমারে ফ্লাই ওভার এর উপরে দারাইতে দিবেন, ঠিক আছে?
আচ্ছা। খুব খাইতে ইচ্ছা করলে গুদাম গরম খাইয়েন …… দুইজনই হাসি।
কিন্তু মহাখালীর পর ট্র্যাফিক জ্যাম এত বেশি যে রাত দশটা এখানেই বেজে গেলো। মামা বিনয়ের সাথে বললেন – দ্যাখতেই পাইছেন কি জাম ডা লাগছে? মামা, ডাইনে দিয়া যাই?
ঠিক আছে। আজ আর ফ্লাইওভার এর উপর থেকে গারির আলো দেখা হবে না।
ও একের পর এক কল করেই চলেছে, আমি ধরছি না। গাড়ির ভ্যা-ভো শব্দে ও কি বলবে আর আমি কি উত্তর দিব পাছে আরো গন্ডগোল বাধবে। তার উপর এখন বাড়ি থেকেও কল আসা শুরু হয়েছে।
তখন গুলশান দুই পেরিয়ে বারিধারার দিকে যাচ্ছিলাম, পুলিশ ফাঁড়ির ঠিক সামনে।ঐ সিএনজি, সাইডে নে। আমাদের উদ্দেশ্য করে একজন কনস্টেবল লাঠি ঠেকিয়ে পথ রোধ করল।
কাগজ সব ঠিকঠাক আছে সার।
পিছে কে দেখি? কি আছে? দরজা খুল …
আমি বাইরে নেমে দাড়ালাম। এক প্রশ্ন উলটে পালটে বার বার করছে, কই থেকে আসছি আর সাথে কি আছে এরকম। এর মাঝে আরো দুইজন কনস্টেবল কাছে চলে এসেছে।
পকেট দেখি? হাত উপড়ে … খাইছে এইটা কি? কনস্টেবল সামছুল হক (ব্যাজ এ নাম লেখা আছে) চেচিয়ে উঠলেন।
উনি নিজ গরযে বিসমিল্লাহ্ বলে আমার পকেটে এক প্যাকেট ইয়াবা গুজে দিয়েছেন। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত না?
পাশে দার করানো পিক-আপ ভ্যান, উঠে হেলান দিয়ে বসে রইলাম। ওনারা আরো কিছু মানুষ ধরে ধরে ফ্রি ইয়াবা গিফট করার চেষ্টা করতে করছেন।
নিয়তি যেন পাগলা ঝড়ো হাওয়া, আচমকাই এসে ছিরে দিয়ে যায় স্বপ্নের খাতা। নিয়তি লাগামহীন, অনিশ্চিত জেনেও আমাদের কত আশা, অন্ধ ভবিষ্যতের অঙ্ক কষা – এ প্লাস, বিসিএস, সংসার পাতা, ঘড়ের চালে ঝিঙের বিজ তুলে রাখা।
আজ স্বপ্নের ভিটে একেবারে ফাকা; আর মাত্র কয়েকটা মাস বাকি। অ্যাড্রেনাল ক্যানসারের এই শেষ স্টেজে জীবনকে টেনে এনেও নিয়তির নানা কসরত খেলা।
পিক-আপ ভ্যানের পিছনের অংশে একজন পুলিশ আসামীর পাহারায় আছে, নাম তারেক রহমান … বেচারার নামটা! মুখে একটা খিলি পান ভরার পর নখের মাথায় চুন তুলে সেটা আবার দাত দিয়ে টেনে পান চিবোতে চিবোতে প্রশ্ন – কি করা হয়?চাকুরী, পড়ালেখা দুইটাই
পড়া না ছাতা, খালি মেয়ে নিয়া ফুর্তি-ফার্তি (মৃদু স্বরে); বেতন কত?
সতেরো হাজার
খারাপ না, পড়ালেখা কই?
বিইউপি
বিইউপি মানে? আর্মিদের? ক্যান্টনমেন্টের?
আহাম্মক! মুখ থেকে পানের পিক ফেলে খানিক দূরে মটরসাইকেলে বসা সহকর্মীকর কাছে গেলো।
ফিরে এসে ভ্যান থেকে নামতে বলল আর নিজেই রিক্সা ডেকে ভাড়াটাও ঠিক করল; ভাড়া বেশি চাওয়াতে রিক্সাওয়ালাকে ডান্ডা তুলে এই বাড়ি দেবার উপক্রম।
রিক্সায় উঠেই বাড়িতে কল দিলাম – মা?বাবা, এত দেড়ি? কই ছিলেন? বাইরে ক্যান এখন?
ফোনে টাকা শেষ তাই বাইরে দোকানে
রাতে কি খাওয়া শেষ? আজ কি রান্না করছে বুয়া?
হ্যা। মুরগী
ব্রয়লার মুরগী? তো শুধু মুরগী আর কিছু নাই?
ছিলো – সবজি, ডাল। এই একটা রুটিন করা মিথ্যে রোজ বলে যাই।
আম্মা, আজ অনেক রাত হইছে কাল সকাল সকাল কল করব, আজ রাখি? অনুমতি নিয়ে কলটা রাখলাম।
এদিকে ও কল করে করে নেটওয়ার্কের টাওয়ারগুলোতে আগুন ধড়িয়ে ফেলেছে, আর অনেক কয়টা এসএমএস। লাস্ট এসএমএস-এ লেখা আমি তোমার এপার্টমেন্টের সামনে দাড়িয়ে আছি…
আশেপাশে বাদাম ভাজা খুজলাম কিন্তু এই রাতে আর সেটা আশা করা যায় না তবে রাস্তার পাশে ঝুড়ি করে আমলকী বিক্রি হচ্ছে, আমার তাতেই হবে। এটা ওর প্রিয় কিন্তু শুধু আমলকী খেয়ে পেট ভরবে না, মুদি দোকানে গিয়ে ডিম চাইলাম আর ঘড়ে রাখা চাল ডাল আছেই কিছু একটা এতেই রাধা যাবে।
দোকানের ছোট পিচ্চিটা – মামা, কয়দিন আপনেরে দেখি না যে? সামনে পরিক্ষা?না। জীবনের সব পরিক্ষা শেষ আমার। হেসেই উত্তর দিলাম।
রেজাল্ট দিছে? পাশ করছেন না মামা? বলতে বলতে হাতের তর্জনী আঙ্গুলের মাথায় একটা একটা করে ডিম ধরে আলোর বিপরীতে পরীক্ষা করছে। – নেন, সব ফ্রেশ চেক দিয়া দিলাম।
ছোট্ট এ প্রশ্নটা আমার সমস্ত চিন্তা ছেয়ে গেলো। আসলেই তো, আমার রেজাল্ট কি? জীবনের পূর্ণাঙ্গ একটা কোর্স শেষ করতে চলেছি, আমার ফলাফল কি? পুরো জীবনটা কতই না ছোট! আসলেই কি? হসপিটালের গেলো পাচ দিন পাচ বছরের সমান মনে হয়েছে, আবার রাস্তার জ্যামে বসে পাচ মিনিটও অসয্য লেগেছে। জীবন কি তাহলে কখনও ছোট, কখনও অসহ্য বড়?
এক্ষেত্রে আমি অনেকের থেকে ভাগ্যবান যে আমি জানি আমি চলে যাব, আমার যাবার দিনক্ষণ ঠিক হয়ে গেছে। এটা ঠিক এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় বাড়ি বদলের মতন। মনটা খারাপ হবে তবুও প্রতিবেশী দু-এক জনের কাছে বিদায়, মাফ-টাফ চেয়ে যাওয়া যায়।
আকাশ ডেকে উঠল, অসময়ে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামল। যাক আজ খিচুড়ি-ডিম ভাজিতে মন্দ যাবে না।
আধভেজা হয়ে দরজায় এসে ওকে দেখতে পেলাম শিরিতে বসে আছে পাশে রেখেছে সেই ভুল ঠিকানার মানিপ্লান্টের চারা। দরজা খুলে ওকে স্বাগত জানালাম ঘড়ে, এবং মনে। আর কটা দিনই তো মাত্র, এছাড়া ভালোবাসা নকল হলেও ভালোবাসা, নকল অলঙ্কারের মত ভাব করা যায়, ভোগ করা যায়। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, বিছানায় আমার কাধে ওর মাথা।
– কাল যাবার সময় মানিপ্লান্টটাকে নিয়ে যেও
– কেন, তোমার ভালো লাগে না?
– হুম, জ্যোতিষ শাস্ত্রে মানিপ্লান্টকে ‘ দ্যা সোর্স অফ এনার্জি’ বলা হয়
– তাহলে?
– আর কিছুদিন পরেই এই বাড়িটা ছেরে দেব। তখন না হয় ওটা নতুন বাড়িতে পৌছে দিয়ো
থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে থেমে থেমেই ও চুমু খাচ্ছে গলায়, চিবুকে… আমার মনে ভাসছে সেই মুখটা, শেষ বিকেলে হসপিটালের করিডোরের অনুভুতি, আলোড়ন, আকাঙ্ক্ষা ……
ঘড়টা ভ্যাপসা গরমে ভরে উঠছে ক্রমে, সময় কাটছে না। তখনও দীর্ঘ, অসহ্য রাত পরেই আছে। শুধু মন ছুয়ে যাচ্ছে অতুলপ্রসাদ সেনের গানটা –
নতুন ঝিনুকে লাগে পুরোনো আদর
তন্দ্রা মায়ে দেয় অস্থিরতা
কাছে থেকে যা পেয়েছি তাই তো কথা,
ছুঁয়ে গেলে মোরে যায়ই এমন স্পন্দে তাই
ছব না ,ছব না ওই কল্পলতা
এসো তবে দূরে এসো নীরবতা ।